মধু খাওয়ার উপকারিতা - ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম
প্রিয় পাঠক, আপনি কি মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলেই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারবেন। তাই মনোযোগ সহকারে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন।
এছাড়াও আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনি ইসলাম মধু সম্পর্কে কি বলে সে সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাই মধু নিয়ে বিস্তারিত জানতে আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়ুন।
ভূমিকা
মৃত্যু ব্যতীত মধুকে সকল রোগের মহা ঔষধ বলা হয়। মধুতে রয়েছে সকল রোগের শেফা। মহান আল্লাহ তা'লা মধু সম্পর্কে কোরআন মাজিদে একটি সূরা অবতীর্ণ করেছেন। প্রাচীনকালে চিকিৎসকরা বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় মধু ব্যবহার করতেন। মধু খাদ্য উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান। মধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুনঃ চা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়া শীতকালে মধু খাওয়ার ফলে দ্রুত শরীর গরম হয়। হৃদ রোগীদের জন্য মধুকে আল্লাহর নিয়ামত বলা যেতে পারে। কেননা এটি রক্তে LDL এর পরিমাণ কমাতে এবং HDL পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। মধুর শুধু খাদ্যগুণ রয়েছে বিষয়টি এমন নয়। রূপচর্চার কাজেও মধু ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বককে টান টান রাখতে, ত্বকের জীবাণু দূর করতে মধু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে একজন মানুষ সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়। বর্তমানে মধু চিনির বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। মধুর উপকারিতা ও রূপচর্চার কাজে মধুর ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়তে হবে।
মধু খাওয়ার উপযুক্ত সময়
মধু হলো একপ্রকার মিষ্টি ঘন তরল পদার্থ যা মৌমাছিরা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি করে। এটি প্রাকৃতিক খাদ্য হওয়ার পাশাপাশি একটি ভালো মানের ঔষধও বটে। মধু বিভিন্ন রোগের প্রতিষেধক হিসাবে বহুকাল পূর্ব থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। মধু খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। এটি যে কোন সময় খাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুনঃ চুপ করা বন্ধ করার উপায়
তবে নিয়মিত সকালে খালি পেটে মধু খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এছাড়াও কুসুম গরম পানির সাথে হালকা লেবুর রস ও মধু পান করলে পেটের পীড়াসহ নানারকম উপকারিতা পাওয়া যায়। অনেকে শরীর গরম রাখতে শীতকালে মধু খেয়ে থাকেন। এটি একটি ভালো অভ্যাস। এর ফলে শরীর দ্রুত গরম হয়। এছাড়াও রাতে ঘুমানোর পূর্বে ১-২ চামচ মধু খেলে এর সফলতা পাওয়া যায়।
মধু খাওয়ার নিয়ম
মধু খাওয়ার নির্দিষ্ট কোন নিয়ম না থাকলেও আমরা এটি বিভিন্ন ভাবে খেতে পারি। আমরা প্রতিদিন সকালে এক দুই চামচ মধু সরাসরি খেতে পারি। এছাড়াও এক দুই চামচ মধু ও লেবু কুসুম গরম পানির সাথে মিশিয়ে রোজ সকালে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া রাতে ঘুমানোর পূর্বে গরম পানির সাথে ১-২ চামচ মধু খেলে নানা রকম উপকার পাওয়া যায়।
বর্তমানে মানুষেরা আরও বিভিন্ন উপায়ে মধু খেয়ে থাকে। যেমনঃ কেউ কেউ ক্ষীর, পায়েস ইত্যাদি মিষ্টি জাতীয় খাবারের গুড় বা চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করে থাকেন। এতে করে গুড় বা চিনির ক্ষতিকর দিক থেকে যেমন রক্ষা পাওয়া যায় তেমনি মধুর উপকারও পাওয়া যায়।
এছাড়াও অনেকে পাউরুটি ও মাখন এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেয়ে থাকেন। বর্তমানে বাজারে মধু মিশ্রিত বাদাম পাওয়া যায়। অনেকে এটি খেয়ে থাকেন। মধু যেমন করেই খাওয়া হোক না কেন এর উপকারিতা পাওয়া যায়।
মধুতে অবস্থিত পুষ্টি উপাদানসমূহ
পুষ্টি উপাদানের উপর ভিত্তি করে যদি খাদ্যের তালিকা করা হয় তবে সেই তালিকায় মধুর স্থান উপরের দিকেই থাকবে। মধুতে রয়েছে প্রায় ৪৫টি খাদ্য কথা। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গ্লুকোজ, ফ্রুক্টোজ, সুক্রোজ ও মল্টেজ। মধুতে গ্লুকোজ থাকে ২৫ থেকে ৩৭ শতাংশ, ফ্রুক্টোজের পরিমাণ ৩৪ থেকে ৪৩ শতাংশ, ০.৫ থেকে ৩ শতাংশ সুক্রোজ এবং ৫ থেকে ১২ শতাংশ মল্টেজ বিদ্যমান।
আরো পড়ুনঃ মধুময় বাদাম খাওয়ার নিয়ম ও এর উপকারিতা
এছাড়াও মধুতে ২২ শতাংশ অ্যামাইনো এসিড, ২৮ শতাংশ খনিজ লবণ ও ১১ শতাংশ এনজাইম থাকে। এতে কোন চর্বি ও প্রোটিন নেই। মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ ও সামান্য পরিমাণ ভিটামিন সি। এছাড়াও মধুতে আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান রয়েছে। শক্তির হিসাব করলে ১০০ গ্রাম মধু থেকে ২৮৮ ক্যালরি শক্তি পাওয়া যায়।
মধু খাওয়ার উপকারিতা
সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত খাঁটি মধু খাওয়ার কোন বিকল্প নেই। কেননা এটি শরীরের জন্য অনেক উপকারী এবং নিয়মিত মধু খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আমরা ইতিমধ্যে মধুতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে জেনেছি।
যদি প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করে তোলা যায় তবে সেসব পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরে বিশেষ প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। চলুন তাহলে কথা না বাড়িয়ে মধু খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
মধুতে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান থাকার কারণে নিয়মিত মধু পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে ও কোষকে ফ্রি রেডিকেলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে।
রক্তশূন্যতা
নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। তাই যারা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন বিশেষ করে মহিলারা, তারা নিয়মিত মধু পান করলে তাদের এই সমস্যা অনেকাংশেই কমে যাবে।
তাপ উৎপাদনে
মধুতে গ্লুকোজ থাকার কারণে এবং শরীর দ্রুত শোষণ করার কারণে মধু খাওয়ার সাথে সাথে তা শরীরে শক্তি যোগায়, শারীরিক দুর্বলতা দূর করে, শরীরে তাপ উৎপন্ন করে। তাই দ্রুত ক্লান্তি দূর করতে মধু খাওয়া যেতে পারে।
গ্লাইকোজেনের লেভেল
নিয়মিত মধু খাওয়ার ফলে গ্লাইকোজেনের লেভেল নিয়ন্ত্রিত থাকে।
হজমশক্তি বৃদ্ধি
মধু হজমশক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে সহায়তা করে। তাই যাদের হজমের সমস্যা রয়েছে তারা প্রতিদিন অল্প করে মধু খেতে পারেন।
হৃদরোগে
মধু খাওয়ার ফলের হৃদপিন্ডের নানারকম উপকার হয়ে থাকে। মধু হৃদরোগ হওয়ার ঝুঁকি কমায়। গবেষণায় দেখা গেছে মধু শরীরের জন্য ক্ষতিকর (LDL) কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং শরীরের জন্য উপকারী (HDL) কোলেস্টেরল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
ক্ষত নিরাময়ে
মধু ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসারে ক্ষত নিরাময়ের জন্য মধু সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা হতো। এতে করে বিভিন্ন সংক্রমণ সৃষ্টিকারী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হতো।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মধু খুবই উপকারী। তারা চিনির পরিবর্তে অল্প মধু খেতে পারে। এতে করে তাদের শরীরে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকবে। এছাড়াও মধুতে চিনির থেকে অনেক বেশি পুষ্টি উপাদান বিদ্যমান। তাই চিনির পরিবর্তে মধু খেলে নানারকম উপকার পাওয়া সম্ভব।
ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স। এটি ডায়রিয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে এক চামচ খাঁটি মধু পান করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্লতা দূর করতে সাহায্য করে।
অনিদ্রায়
যাদের রাতে ভালো ঘুম হয় না তাদের জন্য মধু ঔষধ হিসেবে কাজ করে। রাতে ঘুমানোর পূর্বে এক গ্লাস পানির সাথে দুই থেকে তিন চামচ মধু মিশিয়ে খেলে ভালো ঘুম হয়।
যৌন দুর্বলতায়
যৌন দুর্বলতায় মধু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পুরুষদের যাদের যৌন দুর্বলতা রয়েছে তারা প্রতিদিন মধু ও ছোলা মিশিয়ে খেতে পারেন এতে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ে
ফুসফুসের যাবতীয় রোগ ও শ্বাসকষ্ট নিরাময়ের মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। বলা হয়ে থাকে ফুসফুসের যাবতীয় রোগের মহাঔষধ হলো মধু। এছাড়া অনেকে মনে করে এক বছরের পুরোনো মধু শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
শান্তিদায়ক পানীয়
হালকা গরম দুধের সাথে মিশ্রিত মধু একটি শান্তিদায়ক পানীয় হিসেবে কাজ করে। যা খেলে শরীরের প্রশান্তি মিলে।
জিহ্বার জরতায়
জিহ্বার জরতা দূর করতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মধু মুখের দুর্গন্ধ দূর করতেও সাহায্য করে।
আমাশয় নিরাময়ে
আমাশয় রোগ নিরাময় মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। কচি বেল ও আম গাছের কচি বাকল ভালো করে বেটে তার সঙ্গে গুড় ও মধু মিশিয়ে খেলে আমাশয় ভালো হয়।
মলমের বিকল্প
শরীরের বাইরের কোন অংশ কেটে গেলে সেই স্থানে মধু লাগালে অনেক সময় তা মলমের চেয়ে বেশি উপকার করে থাকে।
শরীরকে গরম রাখতে
শীতকালে শরীরকে গরম রাখার জন্য মধু খাওয়া হয়। এক কাপ উষ্ণ গরম পানির মধ্যে এক থেকে দুই চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে শরীর ঝরঝরে হয়।
দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে
মধু খাওয়া চোখের জন্য উপকারী। দৃষ্টি শক্তি বাড়াতে গাজরের সাথে মধু মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
পাকস্থলীর সুস্থতায়
হজমের সমস্যা দূর করতে এবং পাকস্থলীর কাজকে দ্রুত করতে মধু ভূমিকা পালন করে। মধু খাওয়ার ফলে পাকস্থলীতে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ কমিয়ে দেয় বলে বমি ভাব, বুক জ্বালা, অরুচি এগুলো দূর করা সম্ভব হয়।
পানিশূন্যতায়
ডায়রিয়া হলে এক লিটার পানিতে ৫০ মিলিলিটার মধু মিশিয়ে খেলে দেহে পানি শুন্যতা রোধ হয়।
ওজন কমাতে
মধুতে কোন প্রকার চর্বি নেই। এটি পেট পরিষ্কার করে, চর্বি কমায়্ ফলে ওজন কমে যায়।
রূপচর্চায়
মেয়েদের রূপচর্চার ক্ষেত্রে মধু ব্যবহৃত হয়। এটি ত্বকের মসৃণতা বৃদ্ধি করে।
দাঁত ও হাড় গঠনে
মধুতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম দাঁত, হাড়, চুলের গোড়া শক্ত রাখে নখের উজ্জ্বল্যতা বৃদ্ধি করে ভঙ্গুরাতা রোধ করে।
কণ্ঠস্বর
কণ্ঠস্বর সুন্দর করতে নিয়মিত মধু খাওয়া উচিত। তাই নিয়মিত মধু খেলে কণ্ঠস্বর সুন্দর হবে।
হাঁপানি রোধে
মধু হাঁপানি রোধ করতেও সাহায্য করে। আধা গ্রাম গুঁড়ো করা গোলমরিচের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু এবং আদার রস মিশিয়ে দিনে অন্তত তিনবার সেবন করলে এটি হাঁপানি রোধে সহায়তা করে।
শিশুর সুস্বাস্থ্যে
দুর্বল শিশুকে প্রতিদিন দুধের সাথে এক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে দুই বার খাওয়ালে তার স্বাস্থ্য ভালো হয় ও শক্তি বৃদ্ধি পায়।
যক্ষ্মা নিরাময়ে
যাদের যক্ষ্মা রয়েছে তারা যক্ষ্মা ভালো করার জন্য ৬ গ্রাম পেঁয়াজের রস, ২৫০ গ্রাম ঘি এবং ২৫০ গ্রাম মধু মিশিয়ে একটা পাত্রে রেখে দিয়ে প্রতিদিন সকাল বিকাল খেলে এবং প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে চিনি দিয়ে অল্প পরিমাণ গরম দুধ খেলে ৪/৫ দিনের মধ্যে যক্ষ্মা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা প্রতিদিন ২ চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ রসুনের রস মিশিয়ে সকাল ও সন্ধ্যায় সেবন করুন। প্রতিদিন এটি সেবন করার কারণে আপনার রক্তচাপ কমে যাবে। তবে এটি প্রতিদিন সকালে খাওয়ার এক ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত।
রক্ত পরিস্কারক
এক গ্লাস গরম পানির সঙ্গে এক বা দুই চামচ মধু ও এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেট খালি করার আগে প্রতিদিন এই মিশ্রণটি সেবন করুন। এটা রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। তা ছাড়া রক্তনালিগুলোও পরিষ্কার করে।
রক্ত উৎপাদনে
মধুতে বিদ্যমান আয়রন শরীরের রক্ত উৎপন্ন করতে সাহায্য করে।
বার্ধক্য রোধে
যারা নিয়মিত মধু খেয়ে থাকেন তাদের বার্ধক্য অনেক দেরিতে আসে।
মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায়
মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য রক্ষায় মধু খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মধু দাঁতের উপর প্রয়োগ করার ফলে দাঁতের ক্ষয় রোধ করা সম্ভব। এছাড়াও দাঁতের পাথর জমাট বাধা রোধ করতে এবং দাঁত পড়ে যাওয়াকে বিলম্বিত করতে মধু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মধু মিশ্রিত পানি দিয়ে গড়গড়া করলে মাড়ির প্রদাহ দূর হয়।
ইসলামে মধু খাওয়ার নিয়ম
ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। মানব দেহের জন্য উপকারী সকল বিষয় এতে আলোচনা করা হয়েছে। মানুষদের রোগ প্রতিরোধে মধুর আশ্চর্য ক্ষমতায় রয়েছে। ইসলামে মধু খাওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। আল্লাহর হুকুম, রহমত ও কুদরতে মধু প্রতিটি রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে।
আর এ সম্পর্কে কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ "তোমার প্রতিপালক মৌমাছির অন্তরে এই নির্দেশ সঞ্চার করেন যে, পাহাড়ে, গাছে এবং মানুষ যে মাচান তৈরি করে তাতে নিজ ঘর তৈরি কর।তারপর সব রকম ফল থেকে নিজ খাদ্য আহরণ কর। তারপর তোমার প্রতিপালক তোমার জন্য যে পথ সহজ করে দিয়েছেন, সেই পথে চল। (এভাবে) তার পেট থেকে বিভিন্ন বর্ণের পানীয় বের হয়, যার ভেতর মানুষের জন্য আছে শেফা। নিশ্চয়ই এসবের মধ্যে নিদর্শন আছে সেই সকল লোকের জন্য, যারা চিন্তা-ভাবনা করে।" (সুরা আন-নাহল, আয়াত : ৬৮ ও ৬৯)।
আরো পড়ুনঃ মিষ্টি কুমড়ার বীজ খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা
বিভিন্ন হাদিস থেকে জানা যায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মধু ব্যবহারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে হাদিসের এক বর্ণনায় এসেছে "আব্দুলাহ্ ইব্ন মাস'ঊদ (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন : তোমরা কোরআন ও মধু দিয়ে ব্যাধি নিরাময়ের ব্যবস্থা করবে।" (ইব্ন মাজাহ, আস-সুনান, খ. ২, পৃ. ১১৪২, হাদিস নং-৩৪৫২)।
অপর এক হাদিসের বর্ণনায় উঠে এসেছে রাসুল (সা.)-এর কাছে এক সাহাবি এসে তাঁর ভাইয়ের পেটের অসুখের কথা বললে রাসুল (সা.) তাকে মধু পান করানোর পরামর্শ দেন এবং এতে সে সুস্থ হয়ে ওঠে। (বুখারি, আস-সহিহ, খ. ৫, পৃ. ২১৫২, হাদিস : ৫৩৬০)।
হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে হুজুর পাক (সা.) বলেছেন, তোমরা দুটি সেফা দানকারী বস্তুকে নিজেদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় করে নাও। একটি মধু অপরটি কুরআন। -(মিশকাত)
আমাদের প্রিয় নবী হুজুর পাক (সা.) মধু খেতে বড়ই ভালোবাসতেন।
মধু দিয়ে রূপচর্চা
প্রতিটি মানুষ চায় তাকে সুন্দর দেখাতে। নিজেদের রূপকে সুন্দর করতে ও সুন্দর রাখতে মানুষ অনেক টাকা ও তাদের গুরুত্বপূর্ণ সময় এর পিছনে ব্যয় করে থাকে। তবুও অনেক সময় দেখা যায় তারা সঠিক ফল পায় না। তবে নিজেদের সৌন্দর্য ধরে রাখতে মধু খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
মধু ত্বকের আদ্রতা ধরে রাখে ত্বক টানটান করতে সাহায্য করে। কোন ধরনের প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া বিশুদ্ধ মধু ত্বকের জন্য বেশি উপকারী। আয়ুর্বেদমতে, মধু এমন এক উপকরণ, যার গুণের শেষ নেই। সৌন্দর্যচর্চায় মধু অতুলনীয়।
ত্বকের জীবাণু দূর করতে
মধু ত্বক পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে পারে। কেননা এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সব মিলিয়ে এটি ত্বক থেকে জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে। ত্বককে ভালো রাখে।
ত্বককে টানটান রাখে
মধুতে উপস্থিত প্রোবায়োটিক ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে পুষ্টি যোগায়। এতে ত্বক মসৃণ ও টানটান থাকে। ফলে বার্ধক্য আসতে দেরি হয়।
ত্বকের নমনীয়তায়
মধু এক ধরনের প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। দীর্ঘ সময় ত্বকের নমনীয়তা ধরে রাখতে মধু দারুণ কাজ করে। কেননা এটি বাতাস থেকে জলীয় বাষ্প ত্বকের ভিতরে টেনে নেয় যা ত্বকের গভীরে নমনীয়তা ধরে রাখতে সাহায্য করে। নিয়মিত এক টেবিল চামচ পরিমাণ মধু পরিষ্কার ও শুষ্ক ত্বকে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে কোমল ও মসৃণ।
কোমলভাবে ত্বক পরিষ্কার
মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এনজাইম ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানে পরিপূর্ণ। যা ত্বক করে পরিষ্কার, স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মসৃণ। ১ টেবিল-চামচ বেকিং সোডার সঙ্গে ২ টেবিল-চামচ মধু মিশিয়ে পানিতে মুখ ধুয়ে মিশ্রণটি মুখে বা শরীরে বৃত্তাকারে হালকাভাবে মালিশ করে কিছুক্ষণ পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হবে।
এটি ত্বকের মৃতকোষ তুলে নতুন কোষ গঠনে সাহায্য করে। এছাড়াও এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে ২০ মিনিট মুখে ম্যাসাজ করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ব্রণ দূর করতে
বর্তমানে মোটামুটি সকল বয়সের মানুষেরই ব্রণ একটি চিন্তার কারণ। বিশেষ করে মেয়েদের এটি নিয়ে বেশি চিন্তা হয়। মধুর অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান ত্বকের লালচে ভাব ও জ্বালাপোড়া কমিয়ে ত্বককে ব্রণের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রণে আক্রান্ত স্থানে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে তাহলে এর থেকে উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুনঃ ব্যায়াম করার উপকারিতা ও অপকারিতা
এছাড়াও এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেললে এটি ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করবে। এছাড়াও ত্বকের ব্রণের সমস্যা দূর করতে এই প্যাকটি ব্যবহার করা যেতে পারে।
ত্বকের কালো দাগ দূর করতে
বিভিন্ন কারণে ত্বকে দাগ হতে পারে যা আমাদের সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। নিয়মিত মধু ব্যবহারের সেসব দাগ উঠিয়ে ফেলা সম্ভব। এতে করে ত্বক উজ্জ্বল হয়। এছাড়া মধু টিস্যুর পুনর্গঠনে সাহায্য করে।
১ টেবিল-চামচ বিশুদ্ধ মধুর সঙ্গে ১ টেবিল-চামচ নারকেল বা জলপাইয়ের তেল মিশিয়ে নিতে হবে। ত্বকের যেখানে দাগ বা ক্ষত চিহ্ন আছে সেখানে মিশ্রণটি লাগিয়ে ১-২ মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করতে হবে। তারপর ত্বকে গরম তোয়ালে চেপে ধরে রাখতে হবে ঠান্ডা না হওয়া পর্যন্ত। এভাবে নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
এছাড়াও এক টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে সামান্য কলা চটকে নিয়ে সেটি মুখে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কালচে ভাব দূর হবে।
রোদে পোড়া ভাব কমাতে
মধু ত্বকের গভীরে আদ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। সেই সাথে মধুতে থাকা অ্যান্টিইনফ্ল্যামটরি উপাদান ত্বকের রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে। মধুর সাথে যদি এলোভেরা মিশিয়ে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানে লাগানো যায় তাহলে এর থেকে উপকার পাওয়া সম্ভব।
লোমকূপে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার
মধুতে আছে এনজাইম যা ত্বক ও লোমকূপের গভীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়াও মধুতে বিদ্যমান অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বককে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
বয়সের ছাপ দূর করতে
দুই টুকরা পেঁপে চুলকে নিয়ে এর সঙ্গে ২ চামচ মধু বিষয়ে ঘন প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট পর মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এটি করার ফলে আপনার বয়সের ছাপ দূর হবে। এছাড়াও এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য বেশি উপকারী।
চুলের যত্নে
১টি পাকা কলা, আধা কাপ টক দই, ১টি ডিম ও ১ চা-চামচ মধু দিয়ে তৈরি প্যাকের মাধ্যমে সপ্তাহে এক দিন চুলের যত্ন নিতে পারেন। এতে করে চুল সিল্কি হবে ও চুলের গোড়া মজবুত হবে। চুল পড়া কমে যাবে।
সেক্সে মধুর উপকারিতা
মধুর গুনাগুন সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি জানি। যৌন সমস্যার সমাধানে মধু কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। যৌনশক্তি বাড়াতে প্রতিদিন এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ খাঁটি মধু মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। ব্রিটিশ গবেষকদের মতে বাজারে যেসব যৌন উত্তেজক ঔষধ পাওয়া যায় তার চেয়ে প্রতিদিন মাত্র দুই চামচ মধু সেবন করাই অধিক শ্রেয়।
কেননা এতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এছাড়াও মধু পুরুষের টেস্টোস্টেরন হরমোন ও মহিলাদের ইন্টোজেন হরমোন ক্ষরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেই সাথে স্থায়ী উদ্দীপনা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।
মধু খাওয়ার অপকারিতা
মধুর উপকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই কমবেশি অবগত রয়েছি। আমাদের অনেকের ধারণা মধুর কোন অপকারিতা নেই। তবে এ ধারণাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। যদিও মধু অনেক উপকারী তবুও এর কিছু অপকারী দিক রয়েছে। কোন জিনিসই অতিরিক্ত ভালো নয়। তেমনি অতিরিক্ত মধু খেলে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
- পেটে ব্যথাঃ প্রতিদিন অতিরিক্ত মধু খেলে পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই যারা নিয়মিত মধু খেয়ে থাকেন তারা এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন।
- কোষ্ঠকাঠিন্যঃ পরিমিত পরিমাণ মধু গ্রহণ করলে তা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। কিন্তু মাত্র অতিরিক্ত মধু খাওয়ার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে।
- ওজন বৃদ্ধিঃ মধু ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে যদি অতিরিক্ত পরিমাণ মধু খাওয়া হয় তবে মধুতে বিদ্যমান শর্করা শরীরের ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়াতে পারে।
- রক্তচাপ কমানোঃ মধু রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত মধু সেবন করে ফেললে হাইপোটেনশনের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
- এলার্জিঃ বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন জিনিসের প্রতি এলার্জি রয়েছে। যাদের মধুতে এলার্জি রয়েছে তাদের মধু খাওয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো।
- ডায়াবেটিসঃ মধুতে রয়েছে শর্করা। তাই ডায়াবেটিস রোগীদের মধু ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে। অতিরিক্ত মধু খেয়ে ফেললে তা উপকারের পরিবর্তে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
মধু সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন-১ দিনে প্রতিদিন কতটুকু মধু খাওয়া উচিত?
উত্তরঃ মহিলাদের জন্য দুই টেবিল চামচ এবং পুরুষদের জন্য তিন টেবিল চামচ। প্রতিদিন এ পরিমাণ মধু খাওয়ায় একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট।
প্রশ্ন-২ এক চা চামচ মধুতে কত ক্যালরি?
উত্তরঃ মধুতে প্রতি চা চামচে ২২ ক্যালোরি থাকে। তবে এটি চিনির চেয়ে অধিক মিষ্টি হয় অল্প পরিমাণ ব্যবহার করলেই তা যথেষ্ট হয়। এ কারণেই চিনির পরিবর্তে মধু ব্যবহার করা হয়।
প্রশ্ন-৩ প্রতিদিন সকালে মধু খেলে কি হয়?
উত্তরঃ
- রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে
- হজমের জন্য উপকারী
- দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
- শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে
- রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
প্রশ্ন-৪ কাঁচা মধু কি?
উত্তরঃ যে মধু কোন প্রকার প্রক্রিয়াজাতকরণ ছাড়া সরাসরি মৌচাক থেকে আসে তাকে কাঁচা মধু বলে।
প্রশ্ন-৫ মধুতে কতটি খাদ্য উপাদান থাকে?
উত্তরঃ মধুতে প্রায় ৪৫টি খাদ্য উপাদান থাকে।
শেষ কথা
মধুর অল্প কিছু অপকারিতা থাকলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। তাই আমাদের উচিত নিয়মিত পরিমিত পরিমাণ মধু গ্রহণ করা। এতে করে নানা রকম রোগ থেকে মুক্তি লাভের পাশাপাশি সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হওয়া যায়।
প্রিয় পাঠক, এই আর্টিকেলটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে তা আপনার আত্মীয় স্বজনদের মাঝে শেয়ার করুন এবং এই আর্টিকেল সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মন্তব্য কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানান।
আপনি আপনার মূল্যবান মন্তব্যটি এখানে লিখুন। প্রতিটি মন্তব্য গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়।
comment url